পুঠিয়ার রামকৃষ্ণপুর ইদগাহ মাঠের সিমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এ মাসের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর উপজেলার হাসানুজ্জামান দিং দ্বয় পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ৪৯৭ দাগের ৮.৫ শতাংশ জমি ইদগাহ নামের দান করেন। পরে গত ৯ জুলাই উক্ত স্থানে এলাকাবাসী ইদগাহ নির্মান করেন। এছাড়াও এবারের কোরবানির ইদে এলাকাবাসী নবনির্মিত ইদগাহে ইদের নামাজ আদায় করেন।
এব্যাপারে ইদগাহ কমিটির সভাপতি শাহিন আলম জানান, এলাকাবাসী জমিটি ইদগাহ নামের পাওয়া পর ইদগাহের সিমানা প্রাচীর নির্মণের সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে ইদগাহের সিমানা প্রাচির নির্মানের কাজ চলছিলো। শুক্রবার সকালে উক্ত জমির দাবিদার বোরহান উদ্দিন ও তার লোকজন এসে ইদগাহ এর সিমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইদগাহ এর নামে জমিটি তারা বহুদিন ধরে অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলো। এলাকাবাসী জমিটি ইদগাহর নামে পাওয়ার পর থেকে তাদের সাথে বিরোধ চলছিলো।
এছাড়াও অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিনের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ কারার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে এ কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।